গালিব আফসারী'র গল্পঃ ব্রাইট অন্ধকার এবং কষ্টেরা

||১|| ছেলেটা একটা ওয়ার্কশপে কাজ করতো। দোকানটা জেলা পরিষদের সামনে, একটা বটগাছ ছায়া দিয়ে রেখেছে। বৃষ্টি হয়, বটগাছ আড়াল করে রাখে; রোদ হয়, গাছের নিচে ছায়া হয়ে থাকে। রাস্তা দিয়ে রিক্সা যায়, টুংটুং, গাড়ি যায়। মানুষও যায়; অমানুষ গুলো থাকে। ছেলেটার বয়স মাত্র ১২ বছর। প্রতিদিন যখন গ্যারেজের সামনে দিয়ে ছোটছোট বাচ্চারা সুন্দর পোশাক পড়ে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ইস্কুলে যায়, আবার বিকেলে আসে; ও দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকে। তারও যেতে ইচ্ছে করে, এমন করে। এই রাস্তা দিয়ে ভালো জুতো-পোশাক আর কাঁধেচাপা ব্যাগ নিয়ে ইস্কুলে যাচ্ছে, বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলতে, পকেটে হাত, পকেটে মায়ের দেয়া ১০ টি টাকা; টিফিনের জন্য। ছেলেটার স্বপ্ন দেখতে খুব ভালো লাগে। -ওই তানবীর্যা, হা কইরা কি দেখোস হারামজাদা। কাম কর। নবাবী ছুটাইমু তোর, কাম কর তাড়াতাড়ি। মালিকে তাগাদা দেয়। তানভীর কাজে হাত চালায়, দ্রুত। এই বয়সেই ও ভালো কাজ শিখে ফেলেছে। গ্রিলদেয়া জানালা বানাতে পারে একাই, স্টিলের খাট, আলমারি আর দরোজা বানাতে পারে, কেউ সাথে থাকলে। কেউ একটু যত্ন নিয়ে দেখিয়ে দিলেই অনেক কাজ করতে পারে। রহিম চাচা বলেন, তানবীর, তুই বড় হইয়া অনেক বড় মিস্তি...